আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে ক্ষোভের আগুনের আঁচ যে ভাবে পড়ছিল, তাতে আর বোধহয় কোনও উপায় নেই বরিস জনসনের । সম্ভবত আজ বৃহস্পতিবারই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বরিসের জায়গায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনা উজ্জ্বল ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ ঋষি সুনক । আর তাই যদি হয়, তাহলে ঋষি সুনকই হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
একাধিক ব্রিটিশ মিডিয়ার দাবি, কনজারভেটিভ পার্টিও চাইছে বরিসের স্থলাভিষিক্ত হন ঋষি। তিনি ছিলেন বরিস সরকারের অর্থ সচিব। তাঁর পদত্যাগের পরেই বুধবার থেকে টেমসের জলে নতুন করে উথালপাতাল শুরু হয়।
২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার নামের এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন বরিস। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল। বরিস বলেছিলেন,পিনচারের নামে এই ধরনের অভিযগ রয়েছে তা তিনি জানতেন না। সম্প্রতি বরিস জনসনের সচিবালয়েরই এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সব জানতেন। উনি মিথ্যা বলছেন।
এই বিবৃতির পরই ধিকধিক করে জ্বলতে থাকা আগুন দাউদাউ আকার নিয়েছে। প্রথমে ব্রিটিশ সরকারের স্বাস্থ্য ও অর্থ সচিব পদত্যাগ করেন। তারপরেই শুরু হয় মন্ত্রীদের পদত্যাগের হিড়িক। বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস যে বক্তৃতা দিয়েছেন তাও অসত্য বলে দাবি পদত্যাগীদের।
এমনিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বরিসের বিরুদ্ধেও নানান সময়ে নানান অভিযোগ উঠেছে। তাঁর যে পার্টি সেই কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেও তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। যদিও সংসদীয় দল তাঁকে ভোট দিয়ে চেয়ারে টিকিয়ে রেখেছিল। পার্টি অনেক দিন আগেই বরিসকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু যাঁরা তাঁকে টিকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরাই এখন ক্ষুব্ধ। একের পর এক পদত্যাগপত্র আছড়ে পড়ছে টেন ডাউনিং স্ট্রিটের উঠোনে। যা ব্রিটিশ রাজনীতিতে নয়া সংকট তৈরি করেছে বলে মত অনেকের।
আর সেই সংকট কাটাতে ঋষিতেই কি ভরসা রাখবে ব্রিটেন? জল্পনা সত্যি হলে ব্রিটেনের মসনদে এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এই প্রথম।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.